বাংলায় কুনজর দিলেন আমের আঁটি দিয়ে মারব এমনই হুমকি, সোহম চক্রবর্তীর
ভোটের হওয়ায় রাজ্যের রাজনীতির তরীতে নতুন বেগের সঞ্চার হয়েছে। পক্ষ-বিপক্ষের আক্রমন জমজমাট বাংলার রাজনৈতিক পরিবেশ। এদিনও তার অন্যথা হয়নি। মালদহ শহরের অতুল মার্কেটে এক পথসভায় যোগ দেন যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি সোহম চক্রবর্তী। সেখানে বিজেপিকে বহিরাগত বলে আক্রমণ করেন তিনি। সোহম চক্রবর্তী সেখানে দাবী করেন, একুশে তৃতীয়বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসাথে তিনি তাঁর প্রখ্যাত ছবি অমানুষের গানের অনুকরণ করে বলেন, “এই জনজোয়ার দেখে নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে,না রে না, বিজেপি পারবে না" । একুশে আবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী রূপে নির্বাচিত হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মালদহ এই পথসভা থেকে সোহম চক্রবর্তী শুভেন্দু অধিকারীকেও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে। তিনি বলেন,
"বলতে খুবই খারাপ লাগছে, কিছু ভুঁইফোড় মানুষ রয়েছেন। তাঁরা এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হয়ে ছিলেন। এখন ছয় বছর ধরে কী করেছেন, সেটা আপনারা সবাই জানেন। দলটাকে নষ্ট করেছে। এরা হচ্ছে উইপোকা। আপনার ঘরে যদি ঢুকে যায়, তবে ঘরকে ফোঁপরা করে দেবে। এরা যত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যায়, ততই মঙ্গল। ভুঁইফোড় একজন বেরিয়ে গিয়েছেন। বাকিরা বেরিয়ে গেলে ভাল হয়"।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে "তোলাবাজ ভাইপো" বলার তীব্র প্রতিবাদ করেন সোহম চক্রবর্তী। তিনি পথসভা থেকে পদ্মশিবিরের উদ্যেশ্যে পাল্টা আক্রমন শানিয়ে বলেন,"সাহস কত! অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নামে বলছে, তিনি নাকি তোলাবাজ। আরে তোমাদেরকেই তো টাকা নিতে দেখা গিয়েছে টিভির পর্দায়"। বহিরাগত প্রসঙ্গে সোহম চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতোই তিনিও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে রীতিমত হুমকি দিয়ে বলেন, 'বাংলা ঘুরতে আসলে, দেখতে আসলে, তাদের স্বাগত জানানো হবে। মালদহের আম, মিষ্টি দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হবে। কিন্তু বাংলায় কুনজর দিলে আমের আঁটি দিয়ে মারব। আমরা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সৈনিক। বাংলাকে রক্ষা করা, সুরক্ষিত রাখা আমাদের দায়িত্ব'।
এর আগে অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী ঘাসফুলের হয়ে লড়লেও এভাবে বিপক্ষের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় আক্রমণ এই প্রথম। পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে সোহম চক্রবর্তী এই উত্থান বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজ্যের বিশেষজ্ঞ মহল।
No comments:
Post a Comment