পদ্ম শিবিরে পা দিয়েই মমতা-সরকারের বিরুদ্ধে হাই-কোর্টে মামলা দায়ের সৌমেন্দু অধিকারীর
টিএনই ডেস্ক: সৌমেন্দু অধিকারীর বিসর্জনের দিন সেইদিনই প্রায় ঠিক হয়ে গিয়েছিল যেদিন তার ভাই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে প্রবেশ করে। দাদা শুভেন্দুর দল ছাড়ার কিছুদিন পরেই ৩০ ডিসেম্বর রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দুকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেয়। কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী ও তার আইনজীবী। ৪ জানুয়ারি শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জানিয়েছিলেন, পুরসভা আইনুসারে রাজ্য যাকে ইচ্ছে তাকে পদে বসতে পারে। আর এরপর বুধবার কাঁথি পুরসভার প্রশাসদ পদ থেকে সৌমেন্দুকে বহিস্কারের ঘটনায় রাজ্য সরকারকে আদালতে সৌমেন্দুর কাঁথি পুরসভার পদে বহিষ্কারের হলফনামা দাখিল করতে আদেশ দিল আদালত।
সৌমেন্দু গত বুধবার কাঁথির পুর প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল।তা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে বিচারপতি অরিন্দম রাজ্যসরকার কে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হলফনামা দাখিল করতে হবে।পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের নির্দেশ, রাজ্যের হলফনামার উত্তরে যদি কোনো কিছু বলার থাকে সেক্ষেত্রে সৌমেন্দু অধিকারী এক সপ্তাহের মধ্যে পাল্টা হলফনামা আদালতে জমা করতে পারবে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার রাজ্যসরকার বনাম সৌমেন্দু অধিকারী এই মামলার শুনানি হতে পারে
ঘটনার সূত্রপাত হয় যেকোন কাঁথির অধিকারী বাড়িতে প্রথম পদ্মের চাষ হয়, তৃণমূলের অন্যতম একজন নেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রথম গেরুয়া শিবিরে প্রবেশ করে। এরপর ৩০ ডিসেম্বর রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়।এরপর 1st জানুয়ারিতে দাদার হাত ধরে অধিকারী বাড়িতে দ্বিতীয় পদ্ম ফুল ফুটলো। কাঁথির জনসভায় সৌমেন্দু ছাড়াও পুরসভার একাধিক কাউন্সিলার সহ ৫ থেকে ৬ হাজার কর্মী সমর্থক নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। সৌমেন্দু কে বহিস্কারের ঘটনা নিয়ে তৃণমূল ও অধিকারী বাড়ির দ্বন্দ্বের আগুনে এখন হাত সেকছেন রাজ্য-রাজনীতি মহল।
No comments:
Post a Comment