কলেজে হচ্ছেনা ক্লাস তবুও টাকার দাবি থেমে নেই, বেছে নিতে হবে আত্মহত্যার পথ! সোশ্যাল মিডিয়ায় আর্তনাদ কলেজ ছাত্রীর - The News Express

Breaking

The News Express

A Bengali News and Entertainment Web-Channel (24x7) The power of information

Youtube


Wednesday, January 20, 2021

কলেজে হচ্ছেনা ক্লাস তবুও টাকার দাবি থেমে নেই, বেছে নিতে হবে আত্মহত্যার পথ! সোশ্যাল মিডিয়ায় আর্তনাদ কলেজ ছাত্রীর

কলেজে হচ্ছেনা ক্লাস তবুও টাকার দাবি থেমে নেই, বেছে নিতে হবে আত্মহত্যার পথ! সোশ্যাল মিডিয়ায় আর্তনাদ কলেজ ছাত্রীর


টিএনই ডেস্ক ; একদিকে অনলাইন নাকি অনলাইনে পরীক্ষা হবে? সেই নিয়ে উত্তাল যুব সমাজ। একদিকে করোনার প্রকোপে অতিষ্ঠ ছিল গোটা বিশ্ব, এখনও কাটেনি তার রেশ। খোলেনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হয়নি প্রাকটিক্যাল ক্লাস। অনলাইনে ক্লাস হলেও, বলাবাহুল্য বেশির ভাগ কলেজেই ছাত্র-ছাত্রীরা এর থেকে বঞ্চিত। অন্যদিকে, হাতে কলেজে যেভাবে রুটিন অনুযায়ী ক্লাস করে অভ্যস্ত শিক্ষার্থীরা। সেভাবে অনলাইনে রুটিন অনুযায়ী হচ্ছে না ক্লাস। যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা কোনো বিষয়ে অনার্স নিয়েছে, তাদের হচ্ছেনা জেনারেল ও কম্পালসরি সাবজেক্টের ক্লাস।





তবে, এতকিছুর মধ্যে বাদ পড়েনি প্রতি সেমিস্টারে টাকার অঙ্ক। মার্চ মাসে দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমিস্টারের ক্লাস চলাকালীন করোনার প্রকোপে বন্ধ হয়েছিল কলেজ। সে সময় বেশিরভাগ কলেজই ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাকটিক্যাল এবং ল্যাব খরচ সহ পুরোটাকাই নিয়েছিল। কিন্তু হয়নি একমাসও ক্লাস।

তেমনি বর্তমানে তৃতীয় ও পঞ্চম সেমিস্টারের ল্যাব খরচ সহ পুরো টাকা দাবি করছে সমস্ত কলেজ। যার ফলে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বহু ছাত্র-ছাত্রী। এমনকি আত্মহত্যার পথ বাছার পোস্ট করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।





এদিন againstexam নামক একটি ফেসবুক গ্রুপে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটির আওতায় থাকা দমদমের একটি গার্লস কলেজের ছাত্রী ফেসবুকে পোস্ট করেন, "আমি সেকেন্ড সেমিস্টারে পড়ি, বিগত  ভর্তি হওয়ার  কিছুদিন পর থেকে আমাদের কলেজে এক এক রকমের টাকা নেওয়ার সমস্যা দেখা যাচ্ছে, অথচ আমরা বুঝতে পারছি না বা জানতে পারছি না এতো টাকা কি কারনে এবং কিসের  কিসের জন্য নেওয়া হচ্ছে..আমার আর  আমার বন্ধুদের প্রশ্ন যে এতো টাকা কি জন্য নেওয়া হচ্ছে???  আমি জানি না বাদ বাকি আর কোনো  কলেজে  এতো টাকার চাপ এসেছে কি না... করোনার পর অনেকেরই বাবার, মায়ের বা আমরা যারা নিজেরা উপার্জন করি তাদের আর্থিক  সংকট হচ্ছে এবং যেসব পরিবারে আমরা  নিজেরা ছাড়া আরো অনেক ভাইবোন আছে তাদের আরোই সমস্যা। এরম ভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকতে এই টাকার জন্য আমাদেরকে বা আমাদের বাবা, মাকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে....এবার আপনারাই বলুন আমাদের কি করণীয়? এই সমস্যাটা যদি অন্যদেরও হয়ে থাকে তারা ও পারলে জিজ্ঞাসা করো.. কেন এরম করা হচ্ছে..কারণ এর একটা সমাধান আমাদের চাই।"

এই তরুণীর পোস্টের পরেই আর বহু ছাত্রী সহমত জানায়। একজন বলেন, "একদম সঠিক, এই কলেজের ছাত্রী আমিও। খুবই ভুক্তভোগী আমরা। কোভিডের মতোন মর্মান্তিক সময়ে দাঁড়িয়ে, যেখানে প্রচুর বাবা চাকরি হারিয়েছেন, সেখানে কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে আমাদের কাছে। এই প্রেসারে আমরা হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি। হয়তো আমরা কিছু করতে পারবো না, তবু প্রতিবাদে কমতি রাখবো না। আমরা মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে, এই চাপে আমরা শেষ প্রায়।"

তবে কীসের টাকা দাবি করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ? এ বিষয়ে জানা গেছে, এটি এনরোলমেন্ট সংক্রান্ত তৃতীয় সেমিস্টারের টাকা। অন্যদিকে, ছাত্রীরা দাবি করছে "যেখানে ক্লাস হয়না, সেখানে কীসের টাকা।" 

No comments:

Post a Comment