করিডোর রামপুরহাট, নদিয়া- ঝাড়খণ্ডের গরু সহজে পৌঁছে যাচ্ছে বাংলাদেশ
টিএনই ডেস্ক : বাংলাদেশের যে কোন সীমান্ত থেকে রামপুরহাট এর দূরত্ব অনেকটা, তবুও বাংলাদেশে গরু পাচারের অন্যতম প্রধান করিডোর হয়ে উঠছে রামপুরহাট। ধরপাকড়, গ্রেপ্তারি, সিবিআই, ইডি সহ একাধিক সেন্ট্রাল এজেন্সির তৎপরতা সত্বেও বেহাল তবিয়তে চলছে গরু পাচার।
আন্তঃরাজ্যের সীমানা পেরিয়ে চলছে পাচার চক্র। প্রায় প্রতিদিনই চলছে এই চোরাকারবার। এ কারণেই গরু পাচারের তদন্তে সিবিআই আধিকারিকরা দাবি করেছিলেন, এই পাচার চক্রের পিছনে আসলে রয়েছে বড়সড় সিন্ডিকেট। কিন্তু কিভাবে চলছেই চোরাকারবার? মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দিনাজপুর ও নদীয়া জেলা হল গরু পাচারের রুট। উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা কে বাদ দিলে মুর্শিদাবাদ থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গরু পাচার চলছে। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, রামপুরহাট দিয়ে চলছে গরু পাচার। যেসব গরু সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছে তার অধিকাংশই আছে ঝাড়খন্ড থেকে। আর এর জন্য বেড়েছে রামপুরহাট এর গুরুত্ব।
রামপুরহাট থেকে ঝাড়খণ্ডের সীমানার সড়কপথে লাগে কয়েক ঘন্টা। এই রাস্তাটির সীমানায় চলে যাচ্ছে ঝাড়খন্ড দুমকাতে। ঝাড়খণ্ডের প্রত্যন্ত এলাকা হরিপুর, মহিষাদহরী মালুতি, মাসানিয়া, জগতপুর, চিরুদিহ, রামগড় সহ ১১ টির বেশি এলাকা থেকে গরু আসে সরেসডাঙ্গায়। প্রতি সোমবার করে খাতায় কলমে হাট বসলেও এই জায়গা থেকেই দেশি গরু ও জার্সি গরু বাংলাদেশে পাচার হয়। মূলত চারটি করিডোর হয়ে ওপার বাংলায় গরু পাচার হয়
প্রথম রুট: ঝাড়খণ্ডের মহিষাডহরী - বীরভূমের নলহাটি - রঘুনাথগঞ্জ- মুর্শিদাবাদ/ মালদহ হয়ে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় রুট: ঝাড়খণ্ডের সরেসডাঙ্গা - দুমকা রোড ধরে ঝাড়খন্ড চেকপোস্ট পেরিয়ে পিনাগরিয়া মোড় থেকে রণিকগ্রাম- মাড়গ্রাম- নারায়ণপুরের ভিতরের রাস্তা হয়ে নলহাটি- বীরভূম- মুর্শিদাবাদ।
তৃতীয় রুট: ঝাড়খন্ড১ রামপুরহাট - সাঁইথিয়া- বহরমপুর।
চতুর্থ রুট: ঝাড়খন্ড- আসানসোল- বর্ধমান - নদীয়া
যদিও এলাকাবাসীর কথায়, শেষ পাঁচ মাস ধরে পাচার কিছুটা কম হচ্ছে। ধরপাকড়ের ভয়ে এখন আগের তুলনায় গরুর সাপ্লাই কমেছে। কিন্তু তাতে গরু পাচার পুরোপুরি থামিয়ে রাখা যায়নি।
No comments:
Post a Comment