ব্রাজিলের বোলসোনারের চিঠি ভারতকে, ২০লক্ষ্য করোনার টিকা চাইলেন মোদিকে
টিএনই ডেস্কঃ যখন করোনা নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে আছে সেখানে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট করোনাকে নিয়ে বিদ্রুপ অবধি করেছেন। তবে শেষ পরিণতি কি হলো? যেখানে করোনার টিকা পাওয়া প্রায় দুষ্প্রাপ্য হয়েছিল।
শুধু তাই নয় ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো করনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার পরেও তার বিদ্রুপ করা যায়নি। যেখানে তিনি দেখতে পেয়েছেন নিজের দেশে এবং অন্যান্য দেশে করোনার সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।
এই করোনা সংখ্যা কমানোর জন্য সব দেশ টিকা বানানোর চেষ্টায় লেগেছিল। শেষমেষ টিকা বেরোনোর পর প্রত্যেকটি দেশ যেখানে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে সেখানে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের মুখে কটাক্ষ লেগেই আছে।
তিনি বলেছিলেন করোনা টিকায় মানুষ কুমির হয়ে যায় মেয়েদের নাকি দাড়ি গজায়। এই ধরনের ভিত্তিহীন বক্তব্যের কোন মানেই হয়না। তবে এই যুক্তিহীন কথার ফলাফল খুব তাড়াতাড়ি ঘটে গেল।
সেই বোলসোনারোই করোনার টিকার জন্য ভারতের কাছে হাত পাতলেন। দ্বারস্থ হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে। জরুরী ভিত্তিতে ২০ লক্ষ্য করোনার টিকা চেয়ে চিঠি লেখেন। বোলসোনারই কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন দুই করোনার টিকা চেয়েছেন।
কোভিড টিকা করনের জন্য ব্রাজিলের অন্দরে ক্রমেই চাপ বাড়ছে বোলসোনারোর উপর। আশেপাশের তুলনায় তাদের টিকাকরণ কর্মসূচি অনেকটা পিছিয়ে বলে সমালোচনা করেন।
ব্রাজিলের প্রেস অফিসের প্রকাশিত চিঠি দিয়ে বলেন, আমরা অবিলম্বে জাতীয় টিকাকরণ কর্মসূচি কার্যকর করতে চাই। তার জন্য জরুরিভিত্তিতে ব্রাজিলের ২০ লক্ষ টিকা সরবরাহ করলে ভালো হয়। তবে দেখবেন এর জন্য ভারতে টিকাকরণ কর্মসূচি যাতে কোনভাবে ব্যাহত না হয়। ব্রাজিল সরকার ভারতীয় কোম্পানি ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের তৈরি কো ভ্যাকসিন ছাড়াও অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কোভিশিল্ড টিকাকে নির্বাচিত করেছে।
করোনার জন্য ব্রাজিলের অবস্থা ইতিমধ্যে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। লাতিন আমেরিকার এই দেশে করনার আক্রান্তের সংখ্যা ৮,০৭৫,৯৯৮। মৃতের সংখ্যা ২,০২,৬৫৭। মৃতের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। তাই তাড়াতাড়ি টিকাকরণের কাজ শুরু করতে হবে ব্রাজিলকে।
No comments:
Post a Comment